প্রিয় বলদ,
কার সাথে তুলনা করি তোমায়,কোন উপমায় লিখি ও নাম? সুউচ্চ পাহাড়ের উপর একাকী অব্যক্ত বেদনা ভালোবাসা তার সাধু জিহবার স্পর্শের মত।চিরসুখী স্বপ্নগুলো এখন তোমাকে ছাড়া আজন্ম কষ্ট। কেবল আমার চোখ আর চোখের লোনা জল।অথৈ সাগরে যখন আমি নিমজ্জিত প্রায় এক টুকরো ঘাষ হয়ে যেন তুমি এলে তখন আমার জীবনে,তোমাকে আকড়ে ধরে আমি ডাঙার সন্ধান পেলাম।জীবনে নতুনভাবে বাচবার নতুন নতুন স্বপ্ন দেখবার আশ্বাস তুমি আমায় দিলে।অনাবিল প্রশান্তির মাঝে নতুন জীবন গড়ার প্রত্যয়ে আমি এখন অবিসংবাদী, আমাকে তুমি ফেলে দিওনা উচু পাহাড়ের টিলা থেকে, যেখান থেকে আমি কেবল গড়িয়েই পড়ি।প্রতিটি মানুষের মাঝে সুন্দর একটা মন থাকে,আমি তোমার মাঝে তেমনি একটা মন খুজে পেয়েছি যে মনে জাগ্রত চোখের সামনে আমি আমার মুখ দেখতে পাই।পৃথিবীতে এমন স্বচ্ছতম আয়না পাওয়া ভার সেখানে তোমার চোখের মত আয়না কোথায় যে তার দিকে তাকিয়ে আমি আমার মুখ দেখবো?আমি তোমাকে চাই দিনের শুরু থেকে শেষ অবধি,সুর্যস্তে,রাতের সংগি সা-রা-রা-ত।তোমাকে চাই জীবনের সকল কষ্ট ভুলে।তোমার চোখের ভাষা আমার আজন্ম প্রেম।তুমি অনন্তকাল।জগতে এমন সাধ্য কার,কোন নারী ঐ হাতে রাখে হাত??এসো স্মৃতির আয়নাকে সামনে রেখে আমরা আমাদের ভোতা উপলব্ধি দিয়ে জীবন টাকে আকড়ে ধরে এগিয়ে যাই। যুক্তির পাল্লায় নিজেদের পাপ পুন্যের বিচার করে আত্মাকে ক্ষত বিক্ষত করি আমরা,পাপ ও করি আবার ক্ষমাও চাই।কি কষ্টকর এই বেচে থাকা তাইনা?হিসাব করে জীবন টা খরচ করার ভিতরে মহত্ব কিছু থাকতেও পারে তবে এক ফোটা ও আনন্দ নাই কিন্তু। তোমার স্পর্শ পেয়েছি, তোমাকে গ্রহণ করেছি অন্তর জুড়ে। তুমি আমার চোখের দৃষ্টি,তুমি বিধাতার অপরুপ সৃষ্টি, তুমি সুন্দর যেন আমার দেব।রবি ঠাকুরের ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে \”দুটি হাতে হাত দিয়ে ক্ষুধার্ত নয়নে, চেয়ে আছি দুটি আঁখি মাঝে, খুজিতেছি কোথা তুমি- কোথা তুমি\”???
ইতি
তোমার মায়াবতী।
লেখকের নাম: রত্না
যাকে উদ্দেশ্য করে লেখা: বলদ (লেখকের দেয়া নাম)
