বিথী বান্ধবী,
শোন, তোকে আমি খুব ভালবাসি। বুচ্ছিস। তুই যেদিন তোর শেষ চিঠিটা লিখেছিলি, তখন চিঠিটা পড়ে মনে হয়েছিল এটা এমন কারো লেখা যার মনে হয়ত কষ্টের কোন শেষ নাই। তখনই খুব ইচ্ছা হচ্ছিল তোর সাথে কথা বলার। তোর মনের কথা জানার। আর তুই যখন বলেছিলি যে তোর আত্মহত্যা করতে মন চায়, তখন বুঝেছিলাম হয়ত তুই খুব একা। আর ঠিক তখনই ভেবেছিলাম যে, বন্ধু হয়ে যদি তোর একাকীত্বের একটা অংশে হতে পারি। সেখান থেকেই বন্ধুত্বটা। শোন বান্ধবী, তোকে কখনও সামনে থেকে দেখিনি। কখনও তোর কণ্ঠও শুনিনি। তাই ভাবিস না যে এই বন্ধুত্বে কোন শারীরিক চাহিদা আছে। আমি শুধু তোর অবসর সময়ে আড্ডা দেয়ার উপকরণ। অন্য কিছুই না।
দোস্ত শোন, আই লাভ ইউ। শুধু তোকে না। আমি আমার সব বন্ধুদেরকেই অনেক বেশি ভালবাসি। তোর সাখে তো আমার যোগাযোগ বেশি দিনের না। তাই তুই জানিস না যে মানুষ হিসেবে আমি কেমন? আমিও জানি না যে তুই কেমন? তবে এটুকু বলতেই পারি যে, আমি কারো হাত ধরলে তা নিঃস্বার্থ ভাবেই ধরি। আমাদের এই দুরত্বের বন্ধুত্বটা টিকে থাকনা সারা জীবন। তোর আর আমার কোনদিন দেখা না হোক, কিন্তু আমরা না হয় দুর থেকেই বন্ধুত্বটা ধরে রাখলাম।
বান্ধবী জানিস, তুই যখন তোর কথাগুলো বলছিলি, তখন তোকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখতে ইচ্ছা হচ্ছিল। কখনও ভুলে যাস না আমাকে সুইটি। আমি বন্ধুত্বের অযুহাতে কখনও তোর কাছে বাড়তি কিছু চাইব না। লাভ ইউ সুইটহার্ট। উম্মাহ….। কিসটা তোর নরম-কোমল ঠোঁটে দিলাম। যত্নে রাখিস কিন্তু।
ইতি,
তোর বন্ধু
লেখক: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
যার উদ্দেশ্যে লেখা: বিথী ইসলাম
