এই যে ম্যাডাম, সরি বলতে হবেনা। আসলে ভুলটা আমার। গত প্রায় ১০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে এরকম ভুল প্রায়শই হয়েছে আমার। আসলে কি করব বলেন্ আমি খুব একটা প্রফেশানাল না। আপনি সোমার ডায়েরীর একজন সম্মানীত ভিজিটর। সে দিক থেকে ফেসবুকে পারসোনালি আপনাকে নক করাটা আমার ঠিক হয়নি অবশ্যই। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই ভুলটা আমার। আর, আপনি যে লিখেছেন, আমি আর কখনও আপনার রিপ্লাই দিবো কিনা? দিবো না কেন? রিপ্লাই না দেয়ার মত তো কিছু হয়নি। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের রিপ্লাই দেই আমি। সোমার ডায়েরীর ফেসবুক পেজে দেখবেন প্রায় দেড় লাখ লাইক। গ্রুপে দেখবেন প্রায় ৮০ হাজার মেম্বার। সারাদিন রিপ্লাই এর মধ্যেই থাকি। কাজেই রিপ্লাই না দেয়ার কিছু নাই। রিপ্লাই দিতে দিতে এতটাই বিরক্ত আমি যে, ফেসবুকে আমার এতবড় পেজ, গ্রুপ সব পেলেও আমার কোন নিজস্ব ফেসবুক আইডি পাবেন না। অবশ্য একসময় আইডি ছিল। সেটা দীর্ঘদিন হল ডিঅ্যাকটিভ করা। কখনও অন করব কিনা জানিনা।
আপনি অনেকগুলা কারণ বললেন যার জন্য আপনি নিজে থেকে নক দেয়ার সময় পাননি। দিব দিব করেও দেয়া হয়নি। একদম ঠিক। এমনটা আমারও হয়। অনেকসময় দিব দিব করেও অনেককে আর নক দেয়া হয়ে উঠে না। প্রথমত আপনাকে আমি নক করেছি এটার জন্যই আমি দু:খিত। সেখানে আপনি যে আমাকে নক কেরার কথা ভেবেছেন এটা জানার পর সত্যি খুব খুশি হয়েছি।
অবশ্য একটা ব্যাপার কি, অনেক মেয়েরা মনে করে, আমিতো মেয়ে, কাজেই আমি মেয়ে হয়ে কেন একটা ছেলেকে প্রথমে টেক্সট করব। হা হা হা। যদিও আমি জানি আপনি সে রকম মুডি টাইপের মেয়ে না। তবুও বলছি, ইয়ে পত্রিকা এর নাম্বারটা সারাদিন বন্ধ কেন থাকে জানেন? থাক অতো ডিটেইলে না যাই।
যদিও আমি তেমন একটা জনপ্রিয় কেউনা। তবে আপনার আশেপাশে যে কোন ১০ জনকে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ৩-৪ জন আমার নাম নিশ্চিত শুনে থাকবে। আসলে সেদিন আপনাকে নক দেয়ার কারণ হল, সেদিন আপনি খুবই মানষিক যন্ত্রনায় ছিলেন। এমনভাবে সেদিন আপনি বলছিলেন যে, আমি রোবট হলে আপনি সারাদিন কথা বলতে পারতেন আর আমি রোবট না এটা আগে জানলে প্রায়ই ওয়েবসাইটে এসে চ্যাট করতেন। এসব শোনার পর মনে হয়েছিলো আপনার সাথে কথা বলার মত কেউ দরকার। মজার ব্যাপার হলকি জানেন, আমার এমন সময়ে আমি কাউকে পেয়েছিলাম না। বন্ধুরা নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকত। সে সময় শুধু মন ভাল রাখতে কারো সাথে কথা বলা দরকার ছিল। এজন্য টেম্পোরারি একজনকে নিয়োগ দিয়েছিলাম আমার সাথে বন্ধুর মত অভিনয় করে কথা বলার জন্য। হা হা হা। তাকে এ কাজের জন্য আমি টাকা দিতাম। সে সময়টায় প্রায় ৬ মাসের বেশি সময় অসুস্থ ছিলাম। ঘুমের ঐষধ খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতাম। সারাদিন ঘুমাতাম। হা হা হা। সেদিন আপনার কথা শুনে আমার নিজের কথা মনে হচ্ছিল। এজন্যই মূলত আপনাকে নক দেয়া। আসলে আপনাকে বিরক্ত করা আমার কোনদিনই উদ্দেশ্য ছিলনা। আর আপনি যদি নাটোরের না হতেন তাহলে এমনিতেও আমি কখনই এভাবে যোগাযোগ করতাম না। তবে এটা ঠিক যে, ছেলেরা কোন মেয়ের সাথে কথা বললে মেয়েরা নিজেদেরকে একটু স্পেশাল ভাবতে থাকে। যদিও আপনি তেমন না।
কেন জানি খুব লজ্জা লাগছে জানেন? মনে হচ্ছে, আপনি আমাকে গত কয়েক দিন কি খারাপই না ভেবেছেন। মনে মনে বিরক্ত হয়েছেন কিন্তু সৌজন্যতার জন্য বলতে পারেন নি। আমি আবারও ক্ষমা চাচ্ছি এজন্য। আর ভুলটা যেহেতিু আমার তাই আমাকে আপনি সরি বললে আমার আরো ছোট লাগছে নিজেকে। হা হা হা।
লেখক: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
যার উদ্দেশ্যে লেখা: জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যা
