প্রিয়,
“তোমাকেই করেছি জীবনের ধ্রুবতারা, এ সমুদ্রে কভু হবো নাকো দিশেহারা! “
তোমার দুঃখকে আমি ছুঁতে পারিনি, তোমার একান্ত ব্যক্তিগত কষ্টকে আমি নির্বাসনে পাঠাতে পারিনি কিবা তোমার দীর্ঘশ্বাসকে আমি নিরুদ্দেশের ঠিকানায় পাঠিয়ে সমাধি দিতে পারিনি বরং তোমাকে নিজের অজান্তেই আমি আঘাত করেছি এটাই আমার সবচেয়ে বড় কষ্ট। জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা!
বড্ড ইচ্ছে ছিলো তোমার কাঁধে মাথা রেখে চাঁদ দেখার। আমার প্রচন্ড মন খারাপের দিনগুলোতে আমার সমস্ত অগোছালো কথাগুলো তোমাকেই বলে হালকা হতে চেয়েছি। আমি তোমার উপর আমার সমস্ত রাগ ঝাড়তে চেয়েছি আবার সে রাগ কমে গেলে তোমার বুকেই আশ্রয় নিয়ে খুব সঙ্গোপনে বলতে চেয়েছি ভালোবাসি – খুব বেশি ❤
কাক ডাকা ভোরে তোমার সাথে সুর্যোদয় দেখতে চেয়েছি, রাতের অতল গহ্বরে হারাতে চেয়েছি তোমার মৌনতায়। তোমার কড়া শাসনের পরেও হাজার খুনসুটি আর আবদারে তোমাকে ঘিরে রাখতে চেয়েছি আমি। তোমাকে রোজ নিয়ম করে আদুরে গলায় ভালোবাসি বলতে চেয়েছি।
তবে তার কিছুই হলো না, বরং আমি তোমাকে ভালোবাসতে যেয়ে আঘাত করেছি। দোষ আমার – ই আমিই পারিনি তোমাকে আমার মায়ার বাঁধনে বাঁধতে, আমার ভালোবাসার চাদরে তোমাকে জড়াতে। কিন্তু আমি তোমাকে জেনে বুঝে কখনোই আঘাত দিতে অথবা অপমান করতে চাইনি। আমি নিজে সব আঘাত অপমান মেনে নিয়েই তোমাকে ভালোবাসতে চেয়েছি। আমি সবকিছুর বিনিময়েও তোমার ভালো থাকা চেয়েছি। আজ তোমার কাছে ক্ষমা চাইবার ও স্পর্ধা নেই আমার। কোন মুখে ক্ষমা চাইবো তোমার কাছে? আমি জানিনা, সত্যিই জানিনা কিভাবে তোমাকে বললে তুমি ক্ষমা করবে আমায়! তবে আমি তোমার কাছে বিনীতভাবে ক্ষমার দরখাস্ত জানাচ্ছি। আল্লাহরওয়াস্তে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও।
এই পৃথিবীর সবকিছুই মেনে নেওয়া সহজ শুধু আমার প্রতি তোমার অভিযোগ আর অবহেলা ছাড়া। কারণ – তোমার অবহেলা আমার মৃত্যু কামনা।
“সামলে রেখে সকল আঘাত কান্না ভেজা আস্তিনে,
হারিয়ে ফেলার চেয়ে তোমায়, বৃহৎ কোনো শাস্তি নেই! “
ইতি –
অপরাধী
লেখক: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
যার উদ্দেশ্যে লেখা: Mr.অধৈর্য্য
