আজকে অনেকগুলো দিন পরে তোমাকে কিছু একটা লিখতে বসলাম। আসলে ভাবিনি এমন অযাচিতভাবে আবারও তোমাকে নিয়ে কিছু লিখবো। তবে গতকাল রাতের পরে লিখতে হচ্ছে আমাকে।
গতকাল নিজের অজান্তেই তোমার প্রতি ঘৃণার দরুন আমার বমি চলে এসেছে। আচ্ছা, খুব কি দরকার ছিলো আমার সাথে এমন ঘৃণ্য নাটক করার? শুরু থেকে এতো এতো মিথ্যা বলে আমাকে তোমার প্রতারণার জালে আবদ্ধ করার খুব কি প্রয়োজন ছিলো???
আচ্ছা, এতো যে ভালো মানুষ সেজে আছো,আমাকে তো কখনো ভালোবাসোনি খেলনা ভেবে খেলে গেছো কিন্তু একবারও কি মনে হয়না আমার সাথে সাথে নিজের ভালোবাসার মানুষটাকেও ঠকিয়েছো?? অবশ্য যে যেমন! তুমি তো নিজেই বলেছো বর্তমান সময়ে এটা কোনো বিষয়ই না! আর তাছাড়া যে মানুষটা ভালোবাসাহীন কাউকে স্পর্শ করতে পারে সে লোকজনের আড়ালে বেশ্যা পল্লিতেও যেতে পারে। অবশ্য এ আর নতুন কি??? তবে আমি কিছু বিষয়ে আজও হিসেব মিলাতে পারিনা। আমায় ছেড়ে ভালো থাকবে এইতো অহংকার তবে কোন প্রণয়ের স্বার্থে আমায় করলে ব্যবহার??? আমাকে ঘিরে তোমার এসব নীল নকশা তৈরি না করলেও পারতে অন্তত আজকে তোমার অভাবে এমন নষ্ট জীবনযাপন করতে হতো না আমাকে!
জানো তো, সব আছে।যতোটুকু থাকলে চলে যাচ্ছে বলা যায় ঠিক ততোটাই আছে আমার কাছে শুধু না থাকার মধ্যে আছো তুমি। তোমার কাছে সোজাসাপটা পথ দিয়ে যাওয়ার রাস্তাটায়ও যে বিচ্ছেদ নামক শুয়োরের বাচ্চাটা কারফিউ বসিয়েছে। অবশ্য তুমিতো সেজন্যই এতো নাটক সাজিয়েছো। এতোটাই নোংরা নাটক যেখানে তোমাকে বিশ্বাস করার দায়ে আমি মস্ত বড় অপরাধী। আজকে আমি যেনো একজন দাগি আসামি, যেনো আমার কোনো নোংরা রোগ আছে। তোমার সাথে দু’শব্দ কথা বললে যেনো তোমার খুব অসুখ ।। আরেহ যে মেয়েটা তোমার নাক বন্ধ থাকা নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়ও ভালোবাসি বলতে পারে সে আমি তোমার জন্য ক্ষতিকর?? এতোটাই ক্ষতিকর পরিচিত ভেবেও একটু কথা কেমন আছো, ভালো থেকো বলা যায়না???
সব আছে, চারিদিকে তাকালে অভাব কম প্রাপ্তি বেশি তবে কখনো যদি অযাচিত স্পর্শের জের ধরেও খোঁজ নিয়ে দেখো দেখবে কিছুই নেই আমি রিক্ত!
জানোতো, এই সময়টায় আমার সবথেকে বেশি তোমাকে প্রয়োজন ছিলো আর তুমি সবটা অগোছালো করে দিয়ে নিজের সুখের অট্টালিকা গড়ার স্বপ্ন দেখছো যেখানে বেঁচে থাকার তাগিদেও আমি একটু শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছি না বরং তোমার করা সবকটা ভুল আমার চোখের জলে স্পষ্ট হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত।
শুনেছিলাম রুহের হায় বলে একটা ব্যপার আছে । প্রকৃতি নাকি কখনো কারো ঋণ রাখে না সবার প্রাপ্য ঠিকঠাক বুঝিয়ে দেয়। তবে আমি দোয়া করি তোমাকে যেনো কষ্টের বিষাক্ততা কখনো ছুঁতে না পারে কিন্তু আরেকটা কথা এই দুনিয়ায় তোমার মিথ্যা কপট ভালো মানুষের ভণ্ডামি আর তোমার পরিবারের মানুষগুলোর দাম্ভিকতায় ক্ষমতার জোড়ে বেঁচে যাবে আল্লাহর দরবারে কি সে ক্ষমতার জোড়ে বাঁচতে পারবে???
শোনো একটা কথা আমি আজ না হোক কাল তোমার করা আমার প্রতি সবকটা অন্যায় ভুলে ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়ে যাবো তবে আমার প্রতি বেলা নামাজে ঝরে পড়া অশ্রু আর আমার দীর্ঘশ্বাস কি তোমাকে ভালো থাকতে দিবে??? কাউকে কষ্ট দিয়ে কাঁদিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ ভালো আছে এমনটা কোথাও শুনেছো???
আমাকে নিজে থেকে সবকিছুর অধিকার দিয়ে আবার নিজেই সবটা কেড়ে নিয়েছো আর সাথে উপরি পাওনা হিসেবে একরাশ শূন্যতা আর হাহাকার উপহার দিয়েছো এর প্রতিফল স্বরুপ আমি তোমার ভালো চাইছি।
আজ যে আমাকে তুমি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছো কে বলতে পারে নিয়তির টানে কখনো না এই আমাকেই তোমার ভীষণ প্রয়োজন পড়লো! আমি নাহয় ছ্যাঁচড়া তাই তোমার প্রয়োজনে আবার তোমার খেলনা হবো সুযোগ পেলে তবে তুমি শেষবার ক্ষমা চাওয়ার জন্য হলেও আমাকে খুঁজে পাবে কিনা সে নিশ্চয়তা কে দিতে পারে! তবে আমি চাই মন থেকে চাই নিয়তি যেনো আমাদের একবার দেখা করিয়ে দেয় সেদিন ভালোর মুখোশ পড়ে লোক ঠকানোর মতো সবচেয়ে নোংরা ব্যবসায় মেতে উঠে আমাকে ঠকিয়ে কষ্টে রেখে যেয়ে তুমি ঠিক কতোটা ভালো আছো সে ভালো থাকার হিসেব করবো।
ভালো থেকো আর ভালো রেখো ভালোবাসার মানুষকে।
ইতি –
তোমার খেলনা
লেখক: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
যার উদ্দেশ্যে লেখা: নুর মোহাম্মদ চঞ্চল
